ডেইলি বাংলা টাইমস :
প্রকাশিত : ২০২৫-১১-১১ ০১:১৭:২৩
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ছয়টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একইদিনে তিনটি বাসেও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
সোমবার ভোরে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা নেই।
পুলিশের মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বিবিসি বাংলাকে জানান, ভোর চারটার কিছু আগে মোটর সাইকেলে করে দুইজন ব্যক্তি এসে এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
পুলিশ এখনও এই ঘটনায় কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান মি. রহমান।
একইদিন সকালে মোহাম্মদপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং ফরহাদ মজহারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সীমানার ভেতরে এবং সামনের সড়কে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী রফিক আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানান, সকাল সাতটা দশ মিনিটে অজ্ঞাতনামা দুইজন একটা মোটর সাইকেলে এসে প্রবর্তনার বাহির থেকে ভিতরে একটা ককটেল নিক্ষেপ করেছে।
“আরেকটা রাস্তার ওপরে নিক্ষেপ করেছে। এতে কোনো হতাহত নেই। আমরা এটা নিয়ে কাজ করতেছি। কে জড়িত বা রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করতেছি আমরা,” বলেন মি. আহমেদ।
এদিকে সকালে ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের প্রধান সড়কে মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমন্ডি নয় এর ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুইটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাইডাস সেন্টারের সামনে মোটরসাইকেলে করে এসে দুইটি ককটেল নিক্ষেপ করা হয়। সকাল সাতটায় ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনেও দুইটি ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যায় মিরপুর -১০ নম্বরে শাহ আলী কমপ্লেক্সের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। মিরপুর দশ নম্বরে অবস্থিত ফুটওভার ব্রিজের ওপর থেকে এই ককটেলগুলো ছোড়া হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
কাছাকাছি সময় খিলগাঁওয়ে ও আগারগাঁও এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
একদিনে তিন বাসে আগুন
সোমবার ভোরে ঢাকার বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে বেসরকারি শান্তা মারিয়ার ইউনিভার্সিটির একটি বাসে সন্ধ্যায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বাসটিতে যাত্রী না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (অপারেশন) আব্দুল কাইয়ুম বিবিসি বাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বাসে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আগুন নাকি নাশকতা, বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।”