ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-১০ ১৯:৩৮:৫৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৭-১০ ১৯:৩৮:৫৬




  • আইন-আদালত
  • জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন.

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

kzqghvva

জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন সাবেক আইজিপি মামুন

kzqghvva


২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত আলোচিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে। ওই সময় পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন এবং রাজসাক্ষী হতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ ঘটনা ঘটে, যা চলমান বিচার প্রক্রিয়াকে এক নতুন পর্যায়ে নিয়ে গেছে।


আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তোজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এদিন শুনানি নেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল সাবেক আইজিপি মামুনের কাছে জানতে চান, তাঁর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ স্বীকার করেন কি না। জবাবে মামুন বলেন, তিনি দোষ স্বীকার করছেন এবং তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতকে সহযোগিতা করতে চান।


চৌধুরী মামুন ট্রাইব্যুনালে বলেন, তিনি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জুলাই গণহত্যার সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করছেন এবং এ মামলায় যেসব ঘটনা ঘটেছিল, তার সমস্ত বিবরণ আদালতের কাছে প্রকাশ করতে চান। তিনি বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত আমার জ্ঞানের মধ্যে থাকা সমস্ত পরিস্থিতির সত্য এবং বিস্তারিত প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। রহস্য উন্মোচনে আদালতকে সহায়তা করতে চাই।”


চৌধুরী মামুনের আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ ট্রাইব্যুনালে তাঁর রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন এবং মামুনের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁকে পৃথক সেলে রাখার আবেদন জানান। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে নিরাপত্তার জন্য আলাদা কক্ষে রাখার নির্দেশ দেন।


এর আগে একই দিনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল হওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম কোনো মামলার বিচার শুরু হলো। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।


চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, তিনি রাজসাক্ষী হয়ে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিস্তারিত আদালতকে জানাতে চান। তিনি সব তথ্য উদ্ঘাটনে ট্রাইব্যুনালকে সহায়তা করবেন।” প্রসিকিউটর আরও বলেন, মামুন এখন থেকে অ্যাপ্রুভার বা বাংলায় রাজসাক্ষী হিসেবে গণ্য হবেন।


এদিকে, এই মামলায় শেখ হাসিনা এবং আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক রয়েছেন। মামুন বর্তমানে কারাগারে আছেন এবং ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা অনুযায়ী সুরক্ষিত সেলে রাখা হবে।


চৌধুরী মামুনের এই স্বীকারোক্তি মামলার গতিপথে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে আইনি মহল মনে করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের মতো স্পর্শকাতর ঘটনায় শীর্ষ পর্যায়ের একজন কর্মকর্তার এমন স্বীকারোক্তি অভূতপূর্ব।









মন্তব্য