ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-০৯ ০০:১০:১৪




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৪-০২-০৯ ০০:১০:১৪




  • খেলা
  • টস বিতর্কের পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও ভারত.

টস বিতর্কের পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও ভারত

টস বিতর্কের পর যৌথ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ও ভারত


৯০ মিনিটের খেলা ১-১ এ শেষ হওয়ার পর ১১টি করে মোট ২২ শটের টাইব্রেকার ও সাডেন ডেথ ১১-১১ গোলে ড্র। এরপর ম্যাচ কমিশনার ডিলান ডি সিলভা জয়াসুরিয়ার ভুলে সাডেন ডেথ এর শট অব্যহত না রেখে রেফারি টসে ভারতকে জয়ী ঘোষণা করেন। পরে রেফারি অ্যাসেসর তৈয়ব হাসান শামসুদ্দিনসহ সাফের অন্য কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে ভুল বুঝতে পারেন ম্যাচ কমিশনার। এরপর টসের রেজাল্ট বাতিল করে ফের সাডেন ডেথ এর নির্দেশ দেন রেফারি। কিন্তু ভারত এর প্রতিবাদ করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে ড্রেসিং রুমে চলে যায়। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা ঠিকই মাঠে বসে থাকে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতকে এবারের অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা সাফের যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। ফলে শিরোপা বাংলাদেশে থাকার সাথে ভারতও এই টুর্নামেন্টের প্রথম শিরোপার স্বাদ নিলো।


শিরোপা নিতে ভারতের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক মাঠে আসলেও বাকিরা আসেনি। ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন দুই দলের অধিনায়কের হাতে তুলে দেন ট্রফি। এরপর ট্রফি নিয়ে নেয় সাফ কর্তৃপক্ষ। ফলে বাংলাদেশ দল শুধু পতাকা হাতে নিয়েই গ্যালারির পাশে গিয়ে উল্লাস করে।



এর আগে ৯৩ মিনিটে সাগরিকার গোলে বাংলাদেশ ১-১ এ সমতা আনার পর টাইব্রেকার এবং সাডেন ডেথেও খেলায় কোনো দল জিতেনি। টাইব্রেকারে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলই ৫টি করে গোল করে। এরপর সাডেন ডেথ-এর ৫টি শটেও দুই দলের গোল। এর মধ্যে মোট নবম এবং সাডেন ডেথের চতুর্থ শটে হেনা খাতুনের শট বাংলাদেশ কিপার স্বর্ণা রানী মণ্ডল রুখে দিলেও রেফারি অঞ্জনা রাই ফের শট নিতে বলেন। অথচ ওই শট রুখে দেয়ার সাথে সাথেই বাংলাদেশ দলের শিরোপা উল্লাস শুরু হয়ে যায়। এরপর হেনা ফিরতি শটে গোল করেন। ৫-৫ ( ১০-১০) সাডেন ডেথ শেষ হওয়ার পর দুই গোলরক্ষকের শটও গোল। ১১টি করে শটে সমতা থাকার পর রেফারি সাডেন ডেথ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, ম্যাচ কমিশনার ডিলান সিলভা সাডেন ডেথ বহাল না রাখতে বলেন রেফারিকে। বিকল্প হিসেবে টসে শিরোপা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেন। এতে টসে ভারত জয়ী হওয়ার সাথে সাথেই বাংলাদেশ দলের ক্ষোভ আর ভারতীয়দের উল্লাস।

ভারতীয় দল যখন উল্লাস করতে গ্যালারির দিকে যায় তখন তাদের পানির বোতল মারতে থাকে দর্শকরা। এরপর ম্যাচ কমিশনার অন্যদের সাথে আলোচনা করে নিজের ভুল স্বীকার করে টসের ফল বাতিল করে ফের সাডেন ডেথ অব্যহত রাখাতে বলেন রেফারিদের। কিন্তু, এর প্রতিবাদে ভারত খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে মাঠ ত্যাগ করে চলে যায়। এরপর ম্যাচ রেফারি ভারতকে খেলায় ফিরতে আধাঘণ্টা সময় দেয়। কিন্তু, ভারতীয় দল মাঠে আসছিল না।



ভারতের বিপক্ষে কমলাপুর স্টেডিয়ামে লিগ পর্বের ম্যাচের জয়ী একাদশ থেকে উমেলা মারমাকে বাদ দিয়ে বৃহস্পতিবার ফাইনালে চান্স দেয়া হয় ডিফেন্ডার রুমা আক্তারকে। ডিফেন্স লাইন পোক্ত করতেই কোচ সাইফুল বারী টিটুর এই সিদ্ধান্ত। তবে এই রক্ষণ লাইনের ভুলেই ৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভারতের অধিনায়ক নিতু লিন্ডার থ্রু পাস থেকে দুই ডিফেন্ডার প্রান্তি ও জয়নব বিবি রিতির পাশ দিয়ে বল নিয়ে গোল করেন শিবানী দেবী। ১৬ মিনিটে সেই শিবানীর শট যায় বার উচিয়ে। পিছিয়ে পড়া বাংলাদেশ ২১ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েছিল। স্বপ্না রানীর কর্নারে সুরমা জান্নাতের হেড বার উচিয়ে গেলে সমতা আনা হয়নি।


এরপর বাংলাদেশ দূরপাল্লার শটে গোল পরিশোধের চেষ্টা চালায়। ৩৪ মিনিটে ও ৩৭ মিনিটে স্বপ্নার দূরপাল্লার শটে গোল হয়নি।


৪৭ মিনিটে রুমার দূরপাল্লার শটও বার উচিয়ে যায়। এরপর রুমাকে তুলে ফরোয়ার্ড উমেলা মারমাকে নামিয়ে আক্রমন ভাগে খেলোয়াড় বাড়ানো হয়। কিন্তু, শুরু থেকেই এক স্ট্রাইকার সামনে রেখে খেলার কৌশল থেকে বের হতে পারছিল না। ফলে গোলের সুযোগই তৈরি হচ্ছিল না। ৭২ মিনিটে বন্যা ও পুজাকে তুলে কানন ও সুলতানাকে নামান কোচ। ৮৩ মিনিটে মুনকির দুর্বল শট যায় বিপক্ষ কিপার সাজা। ৮৭ মিনিটে স্বপ্নার কর্নার কিক ক্রসবারে লাগে। ৮৮ মিনিটে বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোল হজম থেকে রক্ষা পায়। নেহার দূর থেকে নেয়া ক্রসবারে লেগে বাইরে যায়।


অবশেষে ৯৩ মিনিটে বাংলাদেশের সমতা সূচক গোল। কাননের লব ভারতের নিতুর মাথায় লেগে সাগরিকার কাছে গেলে তিনি বলের নিয়ন্ত্রন নিয়ে ডান পায়ের শটে পরাস্ত করেন বিপক্ষ কিপার আনিকাকে পরাস্ত করেন। সাথে সাথে কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং টিভি পর্দার সামনে থাকা দর্শকদের বাঁধ ভাঙ্গা উল্লাস। ঠিক এই কৌশলেই ভারতের বিপক্ষে লিগ ম্যাচে ইনুজরি টাইমে গোল করেছিলেন সাগরিকা। আসরে তার মোট গোল চারটি।



টাইব্রেকারে বাংলাদেশের প্রান্তি, সুরমা, রিতা, স্বপ্না, মুনকি, সাডেন ডেথ এ ইতি, সুলতানা, উমেলা, সাগরিকা ও কানন গোল করেন। এরপর বাংলাদেশ কিপার স্বর্ণা ও ভারতের আনিকা গোল করলে টসে যাওয়ার নাটক।


বাংলাদেশ দল ; স্বর্ণা, রুমা (উমেলা ৪৮ মি.), প্রান্তি, সুরমা, রিতা, মুনকি ,স্বপ্না, বন্যা (কানন ৭২ মি.) পুজা (সুলতানা ৭২ মি.), ইতি, সাগরিকা।









মন্তব্য