ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১২-৩১ ০০:৫৭:৩৪




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-১২-৩১ ০০:৫৭:৩৪




  • আন্তর্জাতিক
  • বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পর্যালোচনার আহ্বান.

রাইট টু ফ্রিডমের কড়া বিবৃতি

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পর্যালোচনার আহ্বান

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক পর্যালোচনার আহ্বান


বাংলাদেশে আসন্ন ৭ জানুয়ারির সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটনভিত্তিক সংগঠন রাইট টু ফ্রিডম। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম বি মাইলামের সই করা বিবৃতিতে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বাংলাদেশে নিয়োজিত অন্যান্য অংশীদারদের উন্নয়ন সহায়তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততাসহ সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো সাধারণ নির্বাচনের ঝুঁকি সম্পর্কে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের বন্ধুরা সতর্ক বার্তা দিয়ে আসছে। যেখানে ক্ষমতাসীন দল ভোটারদের অবাধে তাদের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছে। এই ঝুঁকি এখন একটি ভার্চুয়াল নিশ্চিততায় পরিণত হয়েছে, কারণ ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে এবং হাজার হাজার বিরোধী দলীয় সদস্য কারাগারে রয়েছেন। এই পর্যায়ে পৌঁছাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ও তার দল পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও ভিন্নমত পোষণের জায়গা বন্ধ করে দিয়েছে। অসংখ্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং বৈশ্বিক গণমাধ্যম এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, এই পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না।

রাইট টু ফ্রিডমের বিবৃতে আরও বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মূলত নিষ্ক্রিয়, অবাধ নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংলাপের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করছে। কিন্তু এটি সম্ভব করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চাপ দেওয়ার জন্য অর্থবহ পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক। যদিও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রসারে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল করেছে এমন কিছু ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। তবে এই পদক্ষেপগুলো নীতিগত লক্ষ্য অর্জনে অপর্যাপ্ত, সেটি প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখেও চীন, রাশিয়া ও ভারত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়ে আসছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শুরু থেকে রাইট টু ফ্রিডম বাংলাদেশের অবনতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সংকটের দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পক্ষে যারা কথা বলছেন, তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করেছে। যেহেতু নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র ও অধিকারের ওপর নিয়মতান্ত্রিক আক্রমণের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে মূল্য দিতে হবে। সোজা কথায় বলতে গেলে, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশে নিয়োজিত অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক অংশীদারদের অবশ্যই এটা পরিষ্কার করতে হবে যে, তারা আর আগের মতো ব্যবসা করতে পারে না। বিশেষ করে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক উন্নয়ন সহায়তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতা, বাণিজ্য সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা অন্তর্ভুক্ত করে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের সব দিক পর্যালোচনা করার জন্য আমরা বাইডেন প্রশাসন ও কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশ সরকার ও তার নাগরিকদের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামরত অন্যদের কাছে একটি বার্তা পাঠাবে যে, যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ় পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের বাগাড়ম্বরকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।









মন্তব্য