ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০২-২১ ০০:০৩:৩৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৩-০২-২১ ০০:০৩:৩৬




অঘোষিত সফরে কিয়েভে বাইডেন

অঘোষিত সফরে কিয়েভে বাইডেন


ডেইলি বাংলা টাইমস: গত বছর রাশিয়া ইউক্রেনে অভিযান শুরু করার পর সোমবার প্রথমবারের মতো একটি অঘোষিত সফরে ইউক্রেনে রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।


মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, চারদিন পরই ইউক্রেনে রুশ হামলার এক বছর পূর্ণ হবে। এমন সময়েই সোমবার নাটকীয়ভাবে কোনও পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ইউক্রেনে পা রাখলেন বাইডেন। ইতোমধ্যে কিয়েভের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির পাশাপাশি ফার্স্ট লেডি ওলেনা জেলেনস্কার সাথে দেখা করেছেন বাইডেন।


হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কয়েক মাস আগে কিয়েভ সফরের জন্য বাইডেনকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করেন যে মার্কিন নেতার পক্ষে পরিস্থিতি কাছাকাছি দেখা গুরুত্বপূর্ণ। সেই আমন্ত্রণেই বাইডেনের এই সফর, তবে তার নিরাপত্তাজনিত কারণে এই সফরের কথা আগে ঘোষণা করা হয়নি ৷


সিএনএন আরও জানিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় মূলত ইউক্রেনের প্রতিবেশি দেশ পোল্যান্ড সফরে যাওয়ার কথা ছিল জো বাইডেনের। তার আগে এদিন সকালে আচমকা কিয়েভে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।


এদিকে বাইডেনের সফরের সময় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বর্তমানে নিরাপত্তাজনিত লকডাউন জারি করা হয়েছে। গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এমনকি কিছু কিছু নির্দিষ্ট রাস্তা পথচারীদের জন্যও বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে কিয়েভজুড়ে বিমান হামলার সতর্কতা সাইরেন বেজেছে। তবে সেখানে রাশিয়ার কোনও ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমান হামলা চলেনি।


হোয়াইট হাউসের জারি করা এক বিবৃতি অনুযায়ী বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার নৃশংস আগ্রাসনের এক বছর পূর্তির মুখে আমি আজ কিয়েভে রয়েছি। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা করেছি এবং ইউক্রেনের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি।


রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বাইডেন বলেন, প্রায় এক বছর আগে পুতিন যখন তার আক্রমণ শুরু করেছিলেন, তখন তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন দুর্বল এবং পশ্চিমা দেশগিুলো দুনিয়া বিভক্ত কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছিলেন।


বাইডেন আরও বলেছেন, সংঘাতের অবসান ঘটানোর জন্য শান্তি আলোচনার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন জনগণদের অনেকেই চাইছেন না আমরা ইউক্রেনকে সাহায্য করি। তা সত্ত্বেও যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।


কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, কিয়েভের প্রতি ওয়াশিংটনের যে জোরালো সমর্থন রয়েছে, এই আচমকা সফরের মধ্য দিয়ে মস্কোকে সেই বিষয়টি স্পষ্ট বার্তা দিলেন বাইডেন।


জেলেনস্কি নিজে ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে বাইডেনের সাথে দেখা করেন এবং মার্কিন কংগ্রেস ভাষণ দেন। যা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের বাইরে তার প্রথম সফর।


এরআগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সহ পশ্চিমা নেতারা তাদের সমর্থন প্রদর্শনের জন্য দেশটিতে সফর করেছেন।


এছাড়াও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন সহ বাইডেন প্রসাশনের বেশ কয়েকজন শীর্ষ লেফটেন্যান্টও নতুন সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিতে ইউক্রেনের রাজধানী সফর করেছেন।


সূত্র: আলজাজিরা, সিএনএন









মন্তব্য