ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১১ ১৭:৪৬:২৬




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-১০-১১ ১৭:৪৬:২৬




  • আন্তর্জাতিক
  • ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল উত্তর কোরিয়া.

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল উত্তর কোরিয়া

kzqghvva

‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করল উত্তর কোরিয়া

kzqghvva


‘হোয়াসং-২০’ নামে সর্বাধুনিক ও ‘সবচেয়ে শক্তিশালী’ আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উন্মোচন করেছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টির ৮০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের উপস্থিতিতে এ ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করা হয়। 

দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ জানিয়েছে, কুচকাওয়াজে উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে উন্নত কিছু অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল, যারমধ্যে দীর্ঘ পাল্লার কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং লঞ্চ যান অন্তভুক্ত ছিল, তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় হোয়াসং-২০ আইসিবিএম। একটি ১১-অ্যাক্সেল লঞ্চার ট্রাকে স্থাপন করা হোয়াসং-২০ এই প্রথম জনসমক্ষে আনা হয়।


কেসিএনএ দেশটির সামরিক বাহিনীর ‘সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক কৌশলগত অস্ত্র ব্যবস্থা’ হিসাবে বর্ণনা করেছে। এদিকে কয়েক সপ্তাহ আগে উত্তর কোরিয়া একটি নতুন সলিড-ফুয়েল রকেট ইঞ্জিন পরীক্ষার ঘোষণা দিয়েছিল। নতুন প্রজন্মের আইসিবিএমে ব্যবহারের জন্যই ইঞ্জিনটি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়। 


কেসিএনএ জানায়, কার্বন ফাইবার দিয়ে তৈরি এই ইঞ্জিন ১ হাজার ৯৭১ কিলোনিউটন শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, যা পূর্বের সব উত্তর কোরীয় রকেট ইঞ্জিনের চেয়ে শক্তিশালী।


যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কার্নেগি এন্ডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের বিশ্লেষক অঙ্কিত পান্ডা বলেন, ‘হোয়াসং-২০, এই মুহূর্তের জন্য উত্তর কোরিয়ার দূরপাল্লার পারমাণবিক অস্ত্র সরবরাহ ক্ষমতার উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রতীক। চলতি বছরের শেষের আগেই এটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হতে পারে।’


হোয়াসং সিরিজের আইসিবিএম উত্তর কোরিয়াকে দূরপাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষমতা দিয়েছে, কিন্তু এর ওয়ারহেড পেলোডের ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।


বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, হোয়াসং-২০ একাধিক পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা এমন একটি ক্ষমতা যা কিম তার সামরিক বাহিনীকে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তার ক্ষেপণাস্ত্রের অস্ত্রাগার শত্রুর প্রতিরক্ষা ভেদ করার আরও ভাল সুযোগ পায়।


অঙ্কিত পাণ্ডা বলেন, ‘এই ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্ভবত একাধিক ওয়ারহেড বহনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করতে পারে এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কিম জং উনের চোখে এটিই কার্যকর প্রতিরোধ ক্ষমতা।’


কেসিএনএ-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কুচকাওয়াজের পর দেওয়া এক ভাষণে কিম উত্তর কোরিয়াকে ‘সমাজতান্ত্রিক শক্তির বিশ্বস্ত সদস্য’ এবং পশ্চিমা বিশ্ব আধিপত্যের হুমকির বিরুদ্ধে ‘স্বাধীনতার জন্য একটি দূর্গ’ বলে অভিহিত করেন।


তিনি বলেন, ‘আজ আমরা বিশ্বের সামনে একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি, যার কোনও বাধা নেই এবং যা আমরা অতিক্রম করতে পারি না।’ 


পিয়ংইয়ংয়ে এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দিমিত্রি মেদভেদেভ।


সূত্র: আলজাজিরা









মন্তব্য