ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-০৮ ১৬:২৮:৫৪




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০৩-০৮ ১৬:২৮:৫৪




  • রাজনীতি
  • নতুন দল হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ করে বসে থাকবে, প্রশ্ন টুকুর.

নতুন দল হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ করে বসে থাকবে, প্রশ্ন টুকুর

নতুন দল হুমকি দিলে বিএনপি কি চুপ করে বসে থাকবে, প্রশ্ন টুকুর


ছাত্রদের করা নতুন দল যদি হুমকি-ধামকি দেয় তাহলে বিএনপি চুপ করে বসে থাকবে কীনা সে প্রশ্ন রেখেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। নাগরিক পার্টির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দল করে যদি হুমকি দাও, যে এটা না হলে ওটা হবে না, ওটা না হলে এটা হবে না। তাহলে আমরা যে এতদিন দল করে এতবড় একটা দল তৈরী করছি, তাহলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকব?


শনিবার (৮ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।


‘প্রত্যেকটা জিনিসের একটা ম্যাচুরিটি লাগে’ এমন উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘উনারা (ছাত্ররা) নতুন রাজনৈতিক দল করেছেন, আমরা জিয়াউর রহমানের দল করি। শহীদ জিয়া সবসময় বহু দলীয় গণতন্ত্র বিশ্বাস করেছেন। একজন জেনারেল কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে সব চাইতে গণতান্ত্রিক চেহারা দেখিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের মতো নেতাকর্মীকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন। তার দলের নেতাকর্মী হিসেবে আমরা মনে করি। দল করেছ ভালো কথা, কিন্তু দল করে যদি হুমকি দাও, যে এটা না হলে ওটা হবে না, ওটা না হলে এটা হবে না। তাহলে আমরা যে এতদিন দল করে এতবড় একটা দল তৈরী করছি, তাহলে কি আমরা চুপ করে বসে থাকবো?


তিনি আরো বলেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসবে, নির্বাচনও হতে হবে। জনগণ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই মিলে এ আন্দোলনকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। এ সময় ভারতের আসামে ছাত্রদের দ্বারা গঠিত সরকার বেশিদিন টিকতে পারেনি বলেও জানান বিএনপির এ নেতা।


তিনি বলেন, ‘ভারতের আসামে একবার কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তখন আসামের ছাত্ররা আন্দোলন করে সেখানকার সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। পরে অসম অধিকার পরিষদ নামে একটি ছাত্র পরিষদ করেছিল। তারা নির্বাচন করে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করেছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে তারা সরকার বেশিদিন চালাতে পারেনি। ৯ মাস কি এক বছর হয়েছিল সেই সরকারের বয়স। পরে পতন হয়েছিল।’


তিনি আরো বলেন, ‘সুতরাং এটা নয় যে পৃথিবীর ইতিহাসে ছাত্ররা সরকার গঠন করেন নি। কিন্তু ছাত্ররা চালাতে পারে নাই।’


এ সময় বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আতঙ্কিত হন বলে জানান বিএনপির নেতা। তিনি বলেন, ‘আজকে আমি খুব আতঙ্কিত হই। যে এদেশে মানুষ আমরা, আমাদের যে মাটি সংস্কৃতি আছে, সেটার মধ্য দিয়ে বড় হয়েছে আমরা। জিয়াউর রহমান সাহেব যখন প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, পহেলা বৈশাখের মধ্যরাতে উনি রমনা বটমূলে গেছেন, উদযাপন করেছেন। কেননা এটা আমাদের মাটি থেকেও অনুষ্ঠানটি উঠে এসেছে।’


বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমাদের দেশে যেমন রীতি আছে সেসব পালন করা তার সাথে ধর্মের কোন দ্বন্দ্ব নেই। প্রত্যেকটি দেশের নাগরিক তাদের নৃতাত্ত্বিক সাংস্কৃতি আছে পালন করে। সুতরাং এ জিনিসগুলোকে বন্ধ করার যে অপচেষ্টা চলছে…। এটা হচ্ছে বাংলাদেশের মধ্যে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা, ঘোলা পানি তৈরি করা যাতে আবার পতিত সরকার ঘোলা পানিতে প্রবেশ করতে পারে।’


‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার বহু শিকারি বেরিয়েছে’ এমন উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘তারেক রহমান বলেছেন, আগামী দিনের নির্বাচন বিএনপির জন্য সবচেয়ে কঠিন হবে। আমিও বলছি, সবচেয়ে কঠিন হবে। আমাদের নানান শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। কেউ ধর্মের ট্যাবলেট বেঁচছে, কেউ খেলাফতের ট্যাবলেট বেচঁছে, নানান ট্যাবলেট দিয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষের মনকে নেয়ার চেষ্টা করছে।’


‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর আহবায়ক ও বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি’র রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, ‘আমারা বিএনপি পরিবার’- এর উপদেষ্টা মো. আবুল কাশেম, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য শাকিল আহমেদ, ফরহাদ আলী সজীব, রুবেল আমিন, শাহাদত হোসেন, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম টিটি, স্বেচ্ছাসেবক দলের সমাজসেবা সম্পাদক দিপু-সহ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল যুবদল ও বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।









মন্তব্য