ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০২-২০ ০১:২০:৪২




ডেইলি বাংলা টাইমস :


প্রকাশিত : ২০২৫-০২-২০ ০১:২০:৪২




  • খেলা
  • ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু নিউজিল্যান্ডের.

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু নিউজিল্যান্ডের

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু নিউজিল্যান্ডের


আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে আসর শুরু করেছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩২০ রান করে কিউইরা। জবাবে, ১৬ বল আগেই ২৬০ রানে শেষ হয় পাকিস্তানের ইনিংস।

নির্দিষ্ট রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই এলোমেলো ছিল পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ। দলীয় ২২ রান তুলতেই তারা হারায় ২ উইকেট। ওপেনার সৌদ শাকিল ৬ রান করে উইল ও’রোর্কের বলে ম্যাট হেনরির হাতে ক্যাচ তুলে দেন। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। ও’রোর্কের বলে গ্লেন ফিলিপসের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান।

শাকিল-রিজওয়ানের বিদায়ে হাল ধরার চেষ্টা করেন বাবর আজম। দীর্ঘ সময় পর হেসেছে তার ব্যাট। তবে, ৯০ বলে ৬৪ রানের স্লো ইনিংসটি আদতে দলের উপকারে আসেনি। মিচেল স্যান্টনারের বলে কেইন উইলিয়ামসনের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন বাবর। এরপর আর সেভাবে জয়ের পথে ছুটতে পারেনি স্বাগতিকরা।

ইনিংসের মাঝে আগা সালমান আর শেষে খুশদিল শাহ লড়াই করেছেন সর্বোচ্চ দিয়েই। ২৮ বলে ৪২ রান করেন সালমান। খুশদিলের ব্যাট থেকে আসে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রান। ৪৯ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১০টি চার ও ১ ছক্কায়। খুশদিল শেষ দিকে ক্ষীণ আশা জাগিয়েছিলেন। তবে, তাকেও ফিরিয়ে পাকিস্তানের জয়ের পথ বন্ধ করে দেন ও’রোর্ক।

কিউইদের পক্ষে ও’রোর্ক ও অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার নেন ৩টি করে উইকেট। ২ উইকেট পান ম্যাট হেনরি।

এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনে খেলতে থাকে দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। তবে হঠাৎই খেই হারায় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ৪০ রানেই টপ অর্ডারের দুই ভরসার ব্যাটার কনওয়ে ও উইলিয়ামসন সাজঘরে ফেরেন।

ব্যক্তিগত ১০ রানে আবরার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন কনওয়ে। পরের ওভারে নাসিম শাহর বলে রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন কেন উইলিয়ামসন।

ড্যারি মিচেলের ব্যাটও হাসেনি এদিন। ব্যক্তিগত ১০ রানে হারিস রউফের বলে শাহিন শাহ আফ্রিদির তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়লের পথ ধরেন তিনি।

৭৩ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন ইয়ং ও ল্যাথাম। দুজন মিলে গড়েন ১১৮ রানের জুটি। সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে নাসিম শাহর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন ইয়ং। ১২টি চার ও ১টি ছয়ের সুবাদে তার ব্যাট থেকে আসে ১০৭ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

ইয়ং বিদায় নিলেও একপ্রান্ত আগলে লড়াই চালিয়ে জেতে থাকেন ল্যাথাম, তাকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস। এই দুজনও গড়েন শতরানের জুটি। ব্যক্তিগত ৬১ রানে রউফের বলে ফখর জামানের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন ফিলিপস। ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ল্যাথাম।

নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রানে শেষ হয় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস।

পাকিস্তানের পক্ষে ২টি করে উইকেট তুলে নেন নাসিম শাহ ও হারিস রউফ। ১টি উইকেট পান আবরার আহমেদ।

আগামী রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইতে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে পাকিস্তান। পরদিন রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে কিউইরা।









মন্তব্য